নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের পায়ে সালাম করে দোয়া নিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত সভার আগে কাদের সিদ্দিকী সম্মান প্রদর্শন করে ড. কামালের পায়ে সালাম করেন।
ছবিতে দেখা যায়, পায়ে সালামের সময় পাশে থাকা নেতাকর্মীদের হাস্যজ্জল এবং তারা আবেগে আপ্লুত হয়ে যান।
এ রকম বিরল দৃষ্টান্ত বর্তমান রাজনীতিতে দেখা যায় না বললেই চলে।
এদিন জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘জাতীয় ৪ নেতার স্বপ্নকে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর চিন্তাতেও ছিল জাতীয় ঐক্য। এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো আমরা।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অনেকে চেষ্টা করেছে। কিন্তু কেউ পারেনি। স্বৈরাচারও চেষ্টা করেছে। আগামীতেও কেউ ধ্বংস করতে পারবে না। বাঙালিকে কেউ পরাজিত করতে পারেনি। জাতির পিতা সেটা প্রমাণ করেছেন।’
অনুষ্ঠানে কাদের সিদ্দিকী বলেন, যদি ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে ৫ তারিখ বিকাল সাড়ে ৪টায় দলবল নিয়ে রাজধানীর বেইলী রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় গিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করবেন।
বঙ্গবীর বলেন, ‘সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর আমাকে যোগ দিতে বলেছেন। আমি যদি যোগ দেই, তাহলে মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করবো। আর যদি আপনাদের সঙ্গে নাও থাকতে পারি, তাও জানিয়ে দেবো। তবে, যেদিন প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সঙ্গে সংলাপ করেছেন, আপনাদের বিজয় হয়ে গেছে। আমি যেখানেই থাকি না কেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপের আগে মনে হয়েছিল আওয়ামী লীগ ২০ সিট পাবে উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘গত ৪ দিন ধরে আমরা দেখছি, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ১৯ সিট পাবে। এর বেশি পেলে আমাকে সাজা দিয়েন।’
আলোচনা সভায় বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বি চৌধুরী উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ড. কামাল হোসেন উপস্থিত থাকায় সভায় আসেননি বি চৌধুরী।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক মেরুকরণ থেকে এখনো নিজেকে স্বতন্ত্র জায়গায় রেখেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
এর আগে, ৩ নভেম্বর নিজের অবস্থান পরিষ্কার করবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। ধারণা করা হয়েছিল নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে শনিবারের আলোচনা সভায় ঘোষণা দেবেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।